রমজানের পর অনেকের মনেই আক্ষেপ থাকে - romjan er pore

রমজানের পর অনেকের মনেই আক্ষেপ থাকে। এত বরকতময় একটি মাস চলে গেলো! সবাই মিলে কি সুন্দর একসংগে রোজা, নামাজ, সেহরী, ইফতার করলাম! ইশ, সারাবছর জুড়ে যদি এভাবে রমজান মাসটা পাওয়া যেতো!!

হ্যাঁ, যারা রমজান মাসটাকে মিস করছেন। তাদের জন্য একটি সুসংবাদ। এটি দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে। তিনি বলেছেন: “যারা রমজানে রোজা পালন করবে এবং শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখবে; তারা যেন সারা বছরই রোজা পালন করল” (মুসলিম: ১১৬৪)। তার মানে, সারাবছর জুড়েই রোজার সওয়াব!

আর এটা এভাবে যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা আনআমের ১৬০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি একটি নেক কর্ম করবে সে দশগুণ বেশী সওয়াব পাবে।” এ হিসেবে মাহে রমজানের ৩০ টি ফরজ রোজার বদলে ৩০০ রোজার সাওয়াব পাওয়া যাবে (৩০x১০=৩০০)। অন্যদিকে শাওয়াল মাসের ৬টি রোজার বদলে ৬০ রোজার সাওয়াব পাওয়া যাবে (৬x১০=৬০)। অর্থ্যাৎ মাহে রমজানের ৩০ রোজা ও শাওয়ালের ৬ রোজা আদায় করলে পুরো এক বছর রোজার সাওয়াব পাওয়া যাবে। সুবহান আল্লাহ!

এভাবে শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রমযানের ফরজ রোজার অসম্পূর্ণতা সম্পূর্ণ করে। তাতে কোনো ত্রুটি ঘটে থাকলে তাও দূর করে থাকে। সে অসম্পূর্ণতা বা ত্রুটির কথা রোজাদার জানতে পারুক আর নাই পারুক। তাছাড়া রমযানের ফরজ রোজা পালনের পরপর পুনরায় রোজা রাখার মানেই হলো রমজানের রোজা কবুল হওয়ার একটি লক্ষণ। যেমন উলামাগণ বলে থাকেন, ‘নেক কাজের সওয়াব হলো, তার পরে পুনরায় নেক কাজ করা।’

শাওয়ালের এই ৬ রোজা এই মাসের যেকোনো সময় আদায় করা যাবে। ধারাবাহিকভাবে বা মাঝে মাঝে বিরতি দিয়েও আদায় করা যাবে।
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখার মাধ্যমে সারা বছর রোজা পালনের সওয়াব হাসিলের তাওফিক দান করুন।

Credit : Dr. Tuhin Malik > Facebook Page

Post a Comment

Previous Post Next Post