hazrot musa shikkonio ek gotona - মুসা (আঃ) এর এই ঘটনা থেকে বদলে যেতে পারে আপনার জীবন

hazrot musa ei gotona bodle jete pare apnar jibon pore dekhun - মুসা (আঃ) এর এই ঘটনা থেকে বদলে যেতে পারে আপনার জীবন পড়ে দেখুন ইনশাল্লাহ ভালো লাগবে।


hazrot musa shikkonio ek gotona - মুসা (আঃ) এর এই ঘটনা থেকে বদলে যেতে পারে আপনার জীবন


মুসা (আঃ) যখন ফেরাউনের ধাওয়া খেয়ে লোহিত সাগরের তীরে, সামনে সাগর পিছনে ফেরাউনের বিশাল বাহিনী। মূসা (আঃ) সঙ্গী-সাথীরা ফেরাউনের বাহিনীকে দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বলাবলি করতে লাগল, "আমরা তো এবার নিশ্চিত ধরা পড়ে গেলাম"।

এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহ চোখের পলকে সমুদ্রে রাস্তা করে দিতে পারতেন। আল্লাহ "কুন" বললেই তো সব হয়ে যায়। তিঁনি "কুন" বললেই সমুদ্রের পানি ভাগ হয়ে রাস্তা তৈরি হয়ে যেত। কিন্তু মহান আল্লাহ সেটা করলেন না। আল্লাহ তখন মূসা(আঃ) কে বললেন তার হাতের লাঠি দিয়ে সমুদ্রে আঘাত করতে!
                             কিন্তু কেন?
এর কারণ হল, মহান আল্লাহ চান, মানুষ তাঁর সাহায্য পাওয়ার জন্য কিছু করুক! তাই লাঠি মারার কাজটা মানুষকেই করতে হবে, শুরুটা আপনাকেই করতে হবে। লাঠি আপনাকেই মারতে হবে, তবেই-না অন্ধকার ফুঁড়ে আলো বের হবে আল্লাহ হুকুমে, গভীর সমুদ্রে রাস্তা তৈরী হবে। হাত গুটিয়ে বসে থাকলে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়না।

আল্লাহ কাউকে ভাত রেঁধে খাওয়ান না, গ্লাসে পানি ঢেলে দেন না, কাউকে ঘাড়ে ধরে হেদায়েত দেন না। হেদায়েত পাওয়ার জন্য লাঠি আপনাকেই মারতে হবে। হেদায়েত পাওয়ার জন্য আপনি নিজে প্রস্তুত তো?
তাহলে এই আয়াতটা একটু খেয়াল করুন। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে পবিত্র কুরআনে জানিয়েছেন, আর মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়। (বাক্বারাহঃ ৮)

একটু চিন্তা করে দেখুন - এই আয়াতে আসলে কাদের কথা বলা হয়েছে...
এই আয়াতে যাদের কথা বলা হয়েছে এরা আসলে মুনাফেক, মুখে দাবী করে আমরা ঈমানদার অথচ তাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি ঈমান নেই!!

ফরয নামায ত্যাগ করার আগে চিন্তা করবেন, আমি কি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কথা বিশ্বাস করি? যদি বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে আপনি ফরয নামায কোনোমতেই ত্যাগ করতে পারবেন না।
                          আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন আমিন ।

Post a Comment

Previous Post Next Post